বদরগন্জ প্রতিনিধি : নতুন জীবন পাওয়া আবুল হোসনের কোমড়, থেকে নিচের দুই পা প্লাস্টার করা।ব্যাথায় কাতরাচ্ছে একটু পর পর। দৈনিক মজুরি ভিত্তিক কাজ করেন তিনি। যেদিন কাজ থাকে না সেদিন খুব কষ্টে দিন পার হয়। দুই পায়ের প্লাস্টার পর প্রতিদিন ওষুধ আর সংসারের অন্য খরচ চালাতে আবুল হোসেনের স্ত্রী চলা কষ্টকর হয়ে পড়ছে। আবুল হোসেনের স্ত্রী বলেন, প্রতিবেশিরা সাহায্যর উপর আমার স্বামীর চিকিৎসা ও সংসার খুব কষ্টে চলতে হচ্ছে। ঘরে জমানো কোন টাকা নেই যে ওষুধ কিনে চিকিৎসা করাবো,আমার স্বামী।এখন সমাজে বড়োলোকের মাইষের কাছে সাহায্য ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
প্রতিবেশি এক নারী বলেন, গ্রামে কায়ো ১০০,২০০,৫০ টাকা করে তুলি আবুল হোসেনর স্ত্রী সাহায্য করা হচ্ছে এভাবে আর কয়দিন মানুষ দিবে। মেম্বার চেয়ারম্যান এলাও কোন সাহায্য দেয় নাই। আবুল হোসেন বাড়ি পৌরশহরে শাহপুর ভাটিয়াপাড়াগ্রামে। তিনি এক সন্তানের জনক। এ বিষয়ে স্হানীয় কাউন্সিলার রিয়াজুল হক শাহ বলেন, আবুল হোসেনকে জীবিত উদ্ধার পর মাননীয় মেয়র তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য ৫০০০টাকা অনুদান দিয়েছিল। আবুল হোসেন একজন হতদরিদ্র গরিব মানুষ। সমাজে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করছি তার চিকিৎসার জন্য । সাহায্য পাঠার, মুঠোফোনে নম্বর ০১৭১৮৪৪৬৮৬৬ নগদ।
উল্লেখ্য বদরগন্জ উপজেলার পৌরশহর বালুয়াভাটা গ্রামে বাবুল দাসের শৌচাগারের নির্মান জন্য ২০ ফিট গর্ত করে শ্রমিক আবুল হোসেন। খননের একপর্যায়ে শ্রমিক আবুল হোসেন মাটি ধসে পড়ে যায়। পরে জেলা ও উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের দফায় দফায় চেষ্টার পর ১০ঘন্টার পর আবুল হোসেনকে জীবিত উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য পাঠানো হয়।
Leave a Reply