মো : আব্দুল শহীদ, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি ; সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের কুতুবপুর এলাকায় ১ নম্বর খাস খতিয়ানের সরকারী ভূমিতে নিজের নামে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করতে ওই ভূমি সৃজন করার অভিযোগ উঠেছে।
তপশীল থেকে জানা গেছে, কুতুবপুর মৌজার জেএল নং-৩৯, খতিয়ান নং-১, দাগ নং-৬৬। ভূমির পরিমাণ ১৫৮০ শতাংশ। ওইখানে সরকারী ও মালিকানাধীন (দুকর)। এই ভূমির এসএ এবং আরএস খতিয়ানে সরকারি ভূমি রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, এই ভূমির খাজনা জালিয়াতি, মাঠ পর্চা জালিয়াতি করেছে স্থানীয় বাসিন্দা ও দলিল দাতা সৈয়দুর রহমান চৌধুরী পিতা মৃত মহিবুর রহমান চৌধুরী, মাতা সুফিয়া খানম চৌধুরী ও নুর আহমদ পিতা মৃত আহমদ আলী মাতার নাম মৃত মমতাজ বেগম।
এই সুফিয়া খানম চৌধুরীর নামে ওই সরকারি ভূমির উপর মাদ্রাসা নির্মাণের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে দলিল রেজিষ্ট্রি কাজ শেষ হয়েছে। দলিল নম্বর ১১২৫/২০১৭ ইং।
এদিকে জাল জালিয়াতি করে ১৩ শতাংশ ভূমি দারুল আরকাম সুফিয়া খানম চৌধুরী মহিলা মাদ্রাসার নামে সম্পাদন করা হয়েছে। কিন্তু মাদ্রাসা নির্মাণে অতিরিক্ত সরকারী ভূমি বেআইনীভাবে দখল করেছে দলিল দাতাগণ। এসএ খতিয়ানের ভূমি (দুকর) সরকার ও জনগণের নামে রয়েছে। এই মৌরুসী ভূমি নিয়ে আদালতে স্বত্ত্ব মামলা চলমান রয়েছে।
হবতপুর গ্রামের অভিযুক্ত ব্যক্তি ও ভূমিদাতা সৈয়দুর রহমান বলেন, আমরা কোনো সরকারী ভূমিতে মাদ্রাসা নির্মাণ করিনি। এটা আমাদের মৌরুমী রেকর্ডীয় ভূমি। তবে আমাদের রেকর্ডীয় আরও ভূমি আছে। এ নিয়ে সরকারের সাথে স্বত্ত্ব মামলা চলছে।
হবতপুর গ্রামের অপর অভিযুক্ত ব্যক্তি ও ভূমিদাতা নুর আহমদ বলেন, আমাদের ভূমিতে আমরা মাদ্রাসা নির্মাণ করেছি। আমরা কোনো সরকারী ভূমি নেইনি।
স্থানীয় বাসিন্দা নেছার আহমদ বলেন, নিজের নামে মাদ্রাসা নির্মাণ করতে গিয়ে সরকারী ভূমি অবৈধভাবে দখল করা গুরুতর অপরাধ। এই বিষয়ে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এমদাদুল হক শরীফ বলেন, কুতুবপুর গ্রামে সরকারী ভূমিতে মহিলা মাদ্রাসা হচ্ছে এটা আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি খুঁজ নিয়ে দেখবো।
Leave a Reply