আজ ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমি জানিনা আমার আগত সন্তানের ভবিষ্যৎ, কিভাবে আমার জীবন অতিবাহিত হবে:বাবুর স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে নিহত আমজেদ হোসেন বাবুর স্ত্রীর বক্তব্যে বলেন, আমি রাবিনা ইসলাম, আমার স্বামী মৃত আমজাদ হোসেন বাবু (২৬)। গত ১৯-০৩-২০২৪ ইং তারিখ রাত ১.৩০ দিকে সময় আমার স্বামী ও তার বন্ধু মো: শফিকে সাথে নিয়ে খিলখেত থানাধীন ৩০০ ফিট রোডস্থ শেখ হাসিনা চত্বর-এ জখম প্রাপ্ত হয়। দূর্ঘটনার সময় আরাফ আতিক (১৭) বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে আসা প্রাইভেট কার যার নম্বর: ঢা:মে.গ-৩২-৭১২৬ মোটরসাইকলকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে আমার স্বামী ও তার বন্ধু রাস্তায় পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন। আরাফাত তাদের কোন প্রকার চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আমার স্বামী ও তার বন্ধু শফিকে দ্রুত হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠান। পরিত্যক্ত অবস্থায় দূর্ঘটনায় ব্যবহৃত প্রাইভেট কার যাহার নং- ঢা:মে.গ-৩২-৭১২৬ জব্দ করে। আমার স্বামী ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতাল, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরবর্তী দিন ২০/০৪/২০২৪ তারিখ আনুমানিক বেলা ১টায় মৃত্যুবরণ করেন। এ মতাবস্থায় খিলক্ষেত থানায় আমি আমার পরিবারের পক্ষে একটি মামলা রুজু করি, যাহার নং-২০ তাং ১১-০৩-২০২৪ ইং। আজ সোমবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

নিহতের স্ত্রী আরো বলেন, আরাফ আতিক এর বিরুদ্ধে ৯৫/৯৮/১০৫ সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ সালের ধারায় মামলা দায়ের করি, যাহার মামলা নং- ২০ তারিখ ১৯-০৩-২০২৪। আমার স্বামী ছিল আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। আমার বিধবা শাশুড়ি ও দেবর ননদ রয়েছে যারা আমার স্বামীর উপর নির্ভরশীল। এমতাবস্থায় আমরা গোটা পরিবারের সদস্য আমার তার অবর্তমানে এক প্রকার অসহায় ও দিশেহারা জীবন যাপন করছি। আমি জানিনা আমার আগত সন্তানের ভবিষ্যৎ, কিভাবে আমার জীবন অতিবাহিত হবে। অভিযুক্ত আসামী আরাফ আতিক একজন প্রভাবশালী লোকের সন্তান বিধায় গাড়ী চালানোর বৈধ লাইসেন্স না থাকা সত্বেও তারা আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে যায়। আমি আমার অসহায়ত্বের কথা জানিয়ে আসামীর পিতা ও অভিভাবকদের জানালে তারা হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ ও মৃত্যুর পর দাফন কাফন করার খরচ বহনের কথা বলে একটি কাগজে স্বাক্ষর নেয় এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩০ (ত্রিশ) লক্ষ টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। আমার স্বামীর দাফন সম্পন্ন করে আজ পর্যন্ত তাদের প্রতিশ্রতি মোতাবেক কোন অর্থ দেয়নি এমনকি উল্টো আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং এখনও মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। বাবুর স্ত্রী বলেন, এখন আমি এতটা অসহায় যে পরিবার নিয়ে কি করবো কি করবো না আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ