আজ ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জহির ডেন্টাল কেয়ারের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীর অভিযোগ ব্যবস্হা নিবেন জেলাপ্রশাসক

ষ্টাফ রিপোর্টার : নেত্রকোণা জহির ডেন্টাল কেয়ার এর উপর ভুক্তভোগীর অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিবেন বলে জানালেন জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ। ভুয়া ডাক্তার তারাই যারা অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিয়ে অবৈধ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সকে পুঁজি করেই চিকিৎসা বাণিজ্যে নেমে পড়েছেন।

নেত্রকোণা শহরের প্রান কেন্দ্র মুক্তার পাড়া ঢুকতেই চোঁখে পড়বে দত্ত মার্কেটের দু তলায় বিশাল সুসজ্জিত আছিয়া ডেন্টাল চেম্বার, শহর জুড়েই বেঙের ছাতার মত যত্র তত্র গড়ে উঠেছে। বিশাল বিশাল সাইন বোড সজ্জিত চেম্বার দেখে যে কেউ ভেবাচেকা খেয়ে যাবে। দামি চেয়ার আর পোশাক দেখে ডা. পরিচয় দেওয়ার আর প্রয়োজন পরেনা। তা ছাড়া বিভিন্ন ওষধ কোম্পানির সমাগম তো আছেই, বিভিন্ন উপহার সামগ্রী নিয়ে হাজির তাঁরা। ডা. সেজে প্রেসক্রিপশন করছেন অবাদে। রোগিদের সিরিয়াল ডেন্টিস বা, ডা. পরিচয় দিয়ে প্রতিনিয়তই প্রতারনা করছেন, রোগীদের সাথে। টেকনিশিয়ান নামের কিছু হাতুড়ে ডা. বা, ডেন্টিস, এ দিকে প্রশাসনের অবহেলা ও নজরদারি না থাকার কারণে বেড়েছে এদের দৌরাত্ম বলে জানান সুধী জনেরা। সাধারণ জনগন স্বল্প আয়ের মানুষ গুলো কম খরচে চিকিৎসা নিতে এসে পড়ছে ফাঁদে। দীর্ঘ মেয়াদি এ চিকিৎসা সেবা এক দিনের নয় যেমন তা সাড়াতেও অনেক সময় লাগে, তারি সুযোগ নিচ্ছে এ সব ভূয়া ডাক্তারা।

কম খরচে চিকিৎসা পাচ্ছে যেমন মানুষ, তার থেকে বেশি ভুল চিকিৎসার শিকার হচ্ছে তারা। এমনি একটি ডেন্টাল কেয়ার জহির ডেন্টাল কেয়ার নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে টেকনেশিয়ান জহির তালুকদার নেত্রকোণা নার্সিং হোম এর নিচ তলায় বিশাল চেম্বার খুলে হয়েছেন ডেন্টিস্ট বা, ডা. তার কারও অজানা নয় এসি রুমে আধুনিক চেয়ার ব্যবহার করছেন। ডাক্তারি করে আয় করেছেন কোটি টাকা ও রমরমা চিকিৎসা ব্যবসা গত: ৪.১.২৪ ইং তারিখে ভুক্তভোগী রাসেল খান, জেলাপ্রশাসক ও সিভিল সার্জন এর নিকট লিখিত অভিযোগ দেন গত০৪,০১,২৪, ইং তারিখে রাসেল খান নামক এক রোগী নেত্রকোণা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে টেকনিশিয়ান জহির এর সাথে দেখা হয় ভুক্তভোগী ও তার মায়ের তিনি সদর হাসপাতালে ডা. পরিচয় দেন, এবং বলেন সদর হাসপাতালে তেমন চিকিসা ব্যবস্হা নেই, আমার একটি জহির ডেন্টাল নামের প্রাইভেট চেম্বার আছে বলে ভুক্তভোগী রোগীকে নিয়ে যান দাঁত দেখে ৫০০ টাকা ভিজিট নেন এবং ফিলিং করতে হবে বলেন, দাঁতের একটি এক্সরে আনতে বলেন, ভুক্তভোগী ২য় তারিখে : এক্সরে নিয়ে এসে দেখেন আরেক জন বসে আছেন উনার নামও জহির তিনি নিজেকে ডা. পরিচয় দেন এবং আধুনিক ডেন্টাল চেয়ারে শুতে বলেন, ভুক্তভোগী রুগী ভূয়া ডেন্টাল ডা. এর কথায় চেয়ারে শুয়ে পরেন, এ ডা. কোন কিছু জিজ্ঞেস না করেই ভুক্তভোগী রুগীর দাঁত ছিদ্র করে ফেলে এতে তিনি ব্যথা অনুভব করে কোন প্রকার ইনিস্হিতিয়া বা চেতনা নাশক ব্যবহার না করেই দাঁতের ভেতর গর্ত করে ফেলেন এতে রোগী ব্যথায় চিৎকার করতে থাকেন। ভিজিট নেন ৩০০ টাকা, পরে তাদের সন্দেহ হলে ঐ ডা. আসলে জিজ্ঞেস করেন তিনি বলেন এ দাঁতের চিকিৎসা করলে আট হাজার টাকা লাগবে। এতে ভুক্তভোগী রুগী বলেন, আমরা গরিব এত টাকাতো আমাদের নেই, তা ছাড়া আমার দাঁতে তো তেমন সমস্যা ছিলনা ফিলিং করলেই হবে বলেছিলেন এখন রোড কেনেল এর টাকা কোথায় পাব। ডা. জহিরুল বলেন টাকা না থাকলে চিকিৎসা নেই, বেরুন। ফিলিং দিয়ে ছেড়ে দেন। তিনি ফিলিং দিয়েই ছেড়ে দেন। এতে মর্জা পঁচে মুখে দুর্গন্ধ ও তীব্র ব্যথা অনুভত হলে দাঁতের ঐ এক্সরে নিয়ে অন্য বি, ডি এস, ডা. এর কাছে গেলে দাঁতের প্রথম এক্স দেখে দাঁত ভাল আছে বলেন, পরে দাঁত অপেন দেখে বিব্রত হন। দাঁতের ভেতর ময়লা পুচ রক্ত বের করেন। ভুক্তভোগী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ইন্টারভিও দিতে যাবে দেশ ও মায়ের সেবা করবে, তাই ডা. দেখাতে চেয়ে ছিলেন। এতে তার জীবনের আশাহত হয় বলে জানান তিনি এবং এ ভুল চিকিৎসার জন্য বিচার চান ভোক্তভূগী ও তার মা।

ভুয়া ডাক্তার তারাই যারা অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিয়ে অবৈধ পতিষ্ঠানের লাইসেন্সকে পুঁজি করেই চিকিৎসা বাণিজ্যে নেমে পড়েছেন। এ দিকে নেত্রকোণায় বিভিন্ন সময় পত্র পত্রিকা এ সব ভূয়া ডা. দের বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশিত হলেও কোন ব্যবস্হা নেয়নি সিভিল সার্জন ডা.সেলিম মিয়া সহ প্রশাসন। অদৃশ্য ক্ষমতার বলে ভূয়া ডা. রাজ করছেন। অনুসন্ধানে সদর হাসপাতালের সামনে থাকা বিভিন্ন টেকনিশিয়ান নামের ডেন্টিস দের সাথে কথা বললে তারা জানান, প্রশাসনের লোকও নাকি তাদের কাছ হতে ফ্রি চিকিৎসা সেবা নিতে আসে, তাদের আছে, একটি গোপন সমিতি সভাপতি সদর হাসপাতালের Dentist জহির তালুকদার । তারা কি ভাবে রোগী দেখে এ কথা জিজ্ঞেস করলে তারা জানায় জহির তাহলে কি ভাবে দেখে, আর প্রশাসনের সামনে আমরা কি ভাবেই রোগী দেখি।

এ চিকিৎসায় ভুক্তভোগী রোগীরা অভিযোগ করতে চাইলে বিভিন্ন ভাবে চাপে ফেলে, ভুলবাল বুঝিয়ে দামা চাপাও দেওয়া হয়,বলেও জানা যায়। এ বিষয় নিয়ে সিভিল সার্জন সেলিম মিঞা সাথে কথা বলতে গেলে তিনি জানান টুকটাক কাজ করতে পারে। তাকে ডেকে এনে আমি কথা বলেছিলাম সে বলেছে টুক টাক কাজ করতে পারে হাইকোটের স্থগিত আদেশ প্রত্রিকার কিছু কাগজ জমা দিয়েছে। এর কোন সুরাহা তারা পাইনি। তবে ডেন্টিস লিখছেন ডা. তো লিখেনি বলেন নেত্রকোণা সিভিল সার্জন ডা.সেলিম মিঞা। কিন্তু ডেন্টিস বা ডা. কথা একই দুটি ডা. এর পদবি ধারন করে। এ ক্ষেত্রে ডেন্টাল আইন ২৮. এর ১, বর্নিত আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ, বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে ডেন্টাল সার্জন রা জানানভুয়া ডাক্তার তারাই যারা অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিয়ে অবৈধ পতিষ্ঠানের লাইসেন্সকে পুঁজি করেই চিকিৎসা বাণিজ্যে নেমে পড়েছেন। চিকিৎসকদের লাইসেন্স দেওয়ার একমাত্র প্রতিষ্ঠান বিএমডিসি।

বিডি এস নয় তো কোন ডা. নয় bmdc অনুমতি ছাড়া কোন রোগীর মুখে হাত দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বলেন এ বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন।

এ বিষয়ে সিনিয়র সাংবাদিক দিলওয়ার খান বলেন, প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে এ সব ভূয়া ডা. দের হাত হতে নেত্রকোণা বাসি মুক্তি পাবে।

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ