আজ ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী পরিকল্পিতভাবে স্ত্রীকে খুন করেছে

মো: আব্দুল শহীদ সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী পরিকল্পিতভাবে স্ত্রীকে খুন করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সদর মডেল থানার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস জানান, খুনের মামলার আসামি রহমত আলী (২৫), পিতা- মৃত আব্দুল মনাফ, সাং- বেরীগাঁও (কাচাঁ ষোলঘর), ইউ/পি- ৮নং সুরমা, থানা- সুনামগঞ্জ সদর  এবং অত্র মামলার ডিসিস্ট সুমা আক্তার (১৯), স্বামী- রহমত আলী, পিতা- মৃত গোলাপ মিয়া, সাং- আদান (মথুরকান্দি), ইউ/পি- সলুকাবাদ, থানা- বিশ্বম্ভরপুর, জেলা- সুনামগঞ্জ উভয়ে তারা স্বামী ও স্ত্রী। মামলার আসামি রহমত আলী পেশায় একজন ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা চালক।

তিনি বলেন, অনুমান ১ বছর পূর্বে চট্টগ্রামে গার্মেন্টেসে চাকুরিরত অবস্থায় বিবাদী রহমত আলীর সাথে ডিসিস্ট সুমা আক্তার এর পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তারা স্বেচ্ছায় বিয়ে করে। ডিসিস্ট সুমা আক্তার আসামি রহমত আলীর ২য় স্ত্রী হয়। বিয়ের পর থেকে তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিষয়াদি নিয়া মনোমালিন্য ও ঝগড়া বিবাদ চলতে থাকে। প্রায় ৩/৪ মাস পূর্বে ডিসিস্ট ও আসামি চট্টগ্রাম থেকে সুনামগঞ্জে আসে এবং সুনামগঞ্জ সদর থানাধীন নবীনগর এলাকায় মুকুল মাস্টারের কলোনীতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করা শুরু করে। তাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস বলেন, মামলার বাদী মেয়ের মা শাহেনা আক্তার তার মেয়ের সুখ শান্তির কথা বিবেচনা করে তাদের মধ্যে একাধিকবার আপোষ মীমাংসা করে দেয়। তারপরও আসামী রহমত আলী স্ত্রীকে প্রায়ই মারধর করত। গত ১মে রাত অনুমান ১১:৩০ ঘটিকায় সে তার স্ত্রীকে খুন করেছে। তার বক্তব্যের সত্যতা যাচাই করার জন্য সুনামগঞ্জ খুনি রহমত আলীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় গত ১ মে বুধবার রাত অনুমান সাড়ে ১১ টায় বিবাদী রহমত আলী তার স্ত্রী নিহত সুমা আক্তারকে পারিবারিক কলহের জেরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কুরবাননগর ইউনিয়নের অর্ন্তগত নবীনগর এলাকায় সুরমা নদীর পূর্ব পাড় হালুয়ারঘাটে জালাল মিয়ার ক্রাশার মিল সংলগ্ন নবীনগর চর নামক নির্জন স্থানে নিয়া লোহার রড দিয়া মাথায় বারি মারিয়া ও ধারালো ছুরি দিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতারী আঘাত করে খুন করে।

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে এসআই (নিঃ)/মোঃ উজ্জ্বল মিয়া সঙ্গীয় নারী পুলিশ সহ উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখ্যে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন এবং ময়না তদন্তের জন্য সুনমাগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। মামলার আসামী রহমত আলীর দেখানো মতে মামলার ঘটনাস্থল হইতে বর্ণিত সাক্ষীদের উপস্থিতিতে খুনের কাজে ব্যবহৃত লোহার রড ও ধারালো ছুরির ভাঙ্গা অংশ সাক্ষীদের উপস্থিতিতে জব্দ করেন। এই সংক্রান্তে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার মামলা নং- ০৩, তারিখ- ০২/০৫/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা- ৩০২ পেনাল কোড রুজু করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ খালেদ চৌধুরী, ওসি অপারেশ ওয়ালি উল্লাহ ও বিভিন্ন মিডিয়ার গণমাধ‍্যমকর্মীবৃন্দ।

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ