রানা ইসলাম, বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : ঈদের বাকি আছে আর ৯দিন। তবে এর মধ্যে বেচা-কেনায় জমে উঠেছে রংপুরে বদরগঞ্জ উপজেলার বিপনি বিতানগুলোতে। সোমবার দুপুরে সরজমিনে দেখা গেছে পৌরশহরে মা ম্যনশন, রাজম্যনশন মার্কেট, ফিরোজ মার্কেট, চৌধুরী মার্কেট, আলম মার্কেট, ছোট বড় সবখানেই জমজমাট ঈদের বাজার। এবারে ঈদে ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের পছন্দের নায়রা, সারারা, লেহেঙ্গা, স্কাট,ও বড় মেয়েদের থ্রি পিস টু পিস শাড়ি ও পুরুষের প্যান্ট শার্ট পাঞ্জাবি পায়জামা বেশি পছন্দ করেছেন জানান বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়ীরা।
পৌরশহরে মা ম্যনশনের ফারিয়া ক্লোথ ষ্টোরে মালিক ডাবলু চৌধুরী বলেন,রোজার শুরু থেকে কেনাকাটা ভাল হচ্ছে। সর্ব নিম্ন ৫০০টাকা থেকে ১৫০০টাকা পর্যন্ত থ্রি পিস শাড়ি রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন রকমের পাঞ্জাবি সার্ট প্যান্ট রয়েছে।
ফরিদ ক্লোথ ষ্টোরের মালিক বলেন,বেশি বিক্রি হচ্ছে ছোট বাচ্চাদের সার্ট প্যান্ট, মেয়েদের কামিজ, নায়রা, গাউন, লেহেঙ্গা জামা। বিক্রি গত ঈদের চেয়ে এবার ভালো।
ফিরোজ মার্কেটে পোশাক কিনতে এসেছেন উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের অহিদুল ইসলাম তিনি বলেন, মার্কেটগুলোতে উপচে পড়া ভিড়।ভাল করে যাচাই বাছাই করে কাপড় কেনা যাচ্ছে না মানুষের ভিড়ে। কোনমতে ছেলের জন্য একটি পাঞ্জাবি ও একটি প্যন্ট কিনলাম।
বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বুজরুক হাজীপুরের আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, এবারে পোশাকের দাম খুব বেশি। দোকানগুলোতে ভিড়ের জন্য দাম করে কাপড় কেনা মুশকিল হয়ে পড়ছে।
পৌরশহরে শহীদ মিনার, সাব রেজিস্ট্রার অফিস সড়কে কামদামি কাপড়ের বাজার জমে উঠেছে। এখানে মেয়েদের জামা,ছেলেদের সার্ট প্যান্ট কম দামে পাওয়া যাচ্ছে।
এ সময় কম দামের কাপড় বিক্রেতা করিম হোসেন বলেন,বিক্রি ভালোই হচ্ছে। মানুষ এবার আগে ভাগে কাপড় কিনছেন। এখানে কাপড়ের দাম কম হওয়ায় লোকজন সমাগম বেশি বলে জানান তিনি।
বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি লতিফ মিয়া বলেন, ঈদকে সামনে রেখে মার্কেটগুলোর আশেপাশে সাদা পোশাকের পুলিশ টহল জোরদার রয়েছে। কোথায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা আমাদের কাছে আসেনি।
Leave a Reply