আজ ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিকের ওপরে সন্ত্রাসী হামলা

রূপসা প্রতিনিধি : সংবাদ প্রকাশের জেরে খুলনার রূপসা উপজেলার এক সাংবাদিকে ওপরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী সাংবাদিকের নাম মাসুম সরদার। শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে খুলনা শহরের বড় বাজার ডেল্টা খেয়াঘাট এলাকায় তিনি এ হামলার শিকার হন। মাসুম সরদার ইবি নিউজ ৬৪ ডট কম অনলাইন পোর্টাল এর প্রকাশক। তিনি রূপসা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সদস্য।

অভিযোগ রয়েছে, ওহিদুজ্জামান আরমান মিয়ার নেতৃত্বে রাঙা সোহেলসহ কয়েকজন মিলে এই হামলা চালায়। হামলার নেতৃত্ব দেয়া ওহিদুজ্জামান আরমান। তিনি রূপসা উপজেলার কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। পরে সেই মারধোরের ভিডিও ওহিদুজ্জামান আরমান Ohiduzzaman Arman Mia নামের ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করে।

জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারী মাসের ২৪ তারিখ উপজেলার রাজাপুর এলাকার যুবলীগ নেতা আয়ানের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হয়। সেই হামলার ঘটনায় আসামী ছিলেন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দেয়া ওহিদুজ্জামান আরমান মিয়া। আরো অভিযোগ রয়েছে অহিদুজ্জামান আরমান মিয়া তারপর পদবী ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি বিয়ে দেয়া তুমি কেনাবেচাসহ মীমাংসা সালিশের নামে বিভিন্ন জলের থেকে টাকা নেই।

পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিক মাসুম সরদার যুবলীগ নেতার করা মামলার বরাত দিয়ে আসামীদের নাম প্রকাশ করে সংবাদ প্রকাশ করেন। এই ঘটনার ক্ষুব্ধ ছিলো আসামীরা। গত ৫ ই মার্চ হাইকোর্টের বিজ্ঞ আদালত জামিন পেয়ে পরিকল্পনা অনুযায়ী সাংবাদিকের ওপরে হামলা করা হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাসুম সরদার বলেন, গতকাল বিকেলে কাজ শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে বড় বাজার কলার আড়তের সামনে আসলে রাঙা সোহেল পথ রোধ করে। পরে ওহিদুজ্জামান আরমান মিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে হেনস্থা করে। আমার মোবাইল ফোন ও পকেটে থাকা টাকা কেড়ে নেয়। পরে মোবাইলটা নদীতে ফেলে দেয়। একপর্যায়ে তারা আমার পেটে ছুরি ঠেকিয়ে মারধোর করে। আর এ সকল গালিগালাজ-মারধোর করে ভিডিও করতে থাকে। স্থানীরা আমাকে উদ্ধার করলে কোন রকমে বাড়ি ফিরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছি।

মাসুম সরদার আরো জানান, হাসপাতালের কাগজ নিয়ে রূপসা থানায় গেলে সেখানে অভিযোগ নেয়নি। সদর থানায় মামলার পরামর্শ দিয়েছেন। মারধোরের ভিডিও সহ খুলনা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

মারধোরের ভিডিও ওহিদুজ্জামান আরমান তার ফেসবুক আইডিতে প্রকাশ করলে উপজেলায় আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। রূপসা উপজেলা প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে হামলাকারী যেই দলেরই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ