ইবি ডেস্ক : এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঢাকা অফিসের পদস্থ কর্মকর্তা গোবিন্দ বর স্রেফ হয়রানি করতে এমামলা দায়ের করেছেন বলে জানান গবেষক ও অধিকারকর্মী সাধনা মহল।
রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি জানান। তিনি বলেন, তাকে দুই দফা গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশি নির্যাতনের পাশাপাশি ভাড়া করা গুণ্ডাদের গুন্ডামি সহ্য করতে হচ্ছে। স্বামী তাকে বাড়ি থেকে উৎখাত করে আট মাস পলাতক মানুষের জীবনযাপনে বাধ্য করেছেন। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘এসব কিছু গোবিন্দ ও তার সহযোগীরা করেছে কেন?’
সাধনা মহল বলেন, আমাকে হয়রানি করার কারণ একটিই। আমি যেন তাকে বিচারের সম্মুখীন করতে ব্যর্থ হই। আমি নিজে যেন নিজের জীবন নিয়ে আতঙ্ক ও ব্যস্ততায় কাটাই। তাকে যেন বিচারের মুখোমুখি না দ্াঁড়াতে হয়। এটি আমাদের সংবিধান ও স্বাধীনতার জন্য অত্যন্ত ভীতিকর এবং উদ্বেগজনক।
তিনি আরও বলেন, তার বিরুদ্ধে গোবিন্দ বরের করা চুরি ও যৌতুকের দুই মামলা আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আদালতে তিনি সশরীরে উপস্থিত না থাকতে পারলেও গোবিন্দ বর নিজে দুটি মামলায় অভিযুক্ত আসামি। পলাতক জীবনের অবসান এবং স্বামীর হয়রানি থেকে রেহাই পেতে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান সাধনা।
স্বামীর বিচার চেয়ে বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন এই অধিকারকর্মী।
সংবাদ সম্মেলনে বেশকিছু দাবি উত্থাপন করেন সাধনা মহল। সেগুলো হলো-
১. অবিলম্বে সাধনা মহলের নামে করা মিথ্যা-বানোয়াট মামলাসমূহ প্রত্যাহার করতে হবে এবং মৌলিক অধিকার স্বীকৃত আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত করতে হবে ।
২. মিথ্যা ঠিকানা ব্যবহার করে চাতুর্যের বেআইনি মামলা প্রদান এবং প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে, বিশেষত: গুলশান থানা ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা প্রদান বন্ধ করতে হবে।
৩. তার বিরুদ্ধে হওয়া অন্যায়, নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির চর্চার ক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত আইনে গোবিন্দর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
৪. এডিবি সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে পক্ষপাতহীন অবস্থান নেবে। একজন অভিযুক্ত নারী নির্যাতনকারীর জন্য দ্রুত এডিবি কঠোর অবস্হান নেবে।
৫. এডিবির কৌশলগত পদ-পদবী ব্যবহার করে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে গোবিন্দ বর প্রশ্নবিদ্ধ করছে। যা দেশের বিচারিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছে। এর প্রতিকার চাই।
Leave a Reply